Monday, July 22, 2013

আয়েশা আফরোজ বর্ণ প্রথম আসলো আমার জীবনে (real love story part 1)

আয়েশা আফরোজ বর্ণ
তাকে দেখার আগে আমি তার ছবি দেখেছি। বাবা যখন দীপা'র বাসায় প্রথম যায় তখন সবার ছবি তুলে এনেছিল। সেখানেই বর্ণ'র ছবি প্রথম দেখি এবং তার ছবি আমার মোবাইলে ওয়ালপেপার করে রাখি। এটা ছিলো আমার ভালো লাগা। তখন আমি ক্লাস ৮ এর শেষ পর্যায়। এটা ছিলো কোন মেয়েকে প্রথম ভালো লাগা। বাবার বিয়েতে আমি তাকে অতটা খেয়াল করি নাই। (আসলে তখন আমার মানসিকতা এতটাই খারাপ ছিলো যে বর্ণ কে নিয়ে ভাবা বা তাকে খেয়াল করে দেখার পরিস্থিতি ছিলো না।) যাই হোক তারপর যখন কয়েকদিন পর মনোহরদী আসলো আমাদের নিতে সেদিন আমার চোখ শুধু তার দিকে চলে যাচ্ছিল। এত মানুষের মাঝে কেউ যদি বিষয় টা খেয়াল করে তাই আমি বাইরে চলে গিয়েছিলাম। তারপর তাদের সাথে ঢাকা গেলাম। আমি বর্ণ কে যত দেখছি ততই ভালো লাগছে। আমি সবার ছবি তোলার বাহানা দিয়ে তার ছবি বেশী করে তুললাম। ( সবাই মনে করতে পারেন যে ছোট ছিলাম তাই একটা মেয়েকে দেখেছি তাকেই ভালো লেগে গিয়েছে । কিন্তু সেখানে অনেক মেয়ে ছিলো, তার মাঝে সবসময় একজনকেই ভালো লেগেছে। ) বেশ কিছুদিন ঢাকায় থেকে যখন মনোহরদী আসলাম, তখন আমার মন খুব খারাপ ছিলো। খুব আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় আমি দীপা কে সবার কথা জিগ্যেস করার ছলে শুধু বর্ণ'র কথা জানতে চাইতাম।  দীপা খুব তারাতারি আমার বিষয় টা ধরে ফেলে। প্রথমে আমি এড়য়ে গেলেও পরে সত্যি টা বলে দিয়েছি। দীপা বললো " আমি তো এখানে আছি, আমি বললে হয়তো আলো আপা রাজি হবে।" আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। বেশ অনেকদিন পর দীপার সাথে আবার ঢাকা গেলাম। সেখানে থাকলাম কিছুদিন। প্রতিদিন তাকে দেখতাম আর আমার ভালো লাগা বাড়তে থাকতো। তখন আমি আসলে খুব চুপচাপ থাকতাম। ঢাকার কারো সাথেই অতটা কথা হতো না। তারা সবাই এক রুমে আড্ডা দিতো আর আমি অন্য এক রুমে চুপচাপ বসে থাকতাম। একটা কথা খুব শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে " একদিন সন্ধায় পাপন দের বাসার ছাদে আমি, বাবা, দীপা আর সব বাচ্চা রা ছাদে আসলামতখন পাপন দের বাসার ছাদে একটা খাট রাখা ছিলো। আমি বাবা আর দীপার সাথে দাড়িয়ে আছি এমন সময় দেখি বর্ণ জেমী কে ধরে নিয়ে গিয়ে ওই খাটে বসে কথা বলছে। বর্ণ সাদা রং এর একটা জামা পড়েছিল।  তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছিল একটা পরী কাউকে নিয়ে সেখানে বসে আছে। " যাই হোক এভাবে প্রায় ৮ মাস কেটে গেলো।  এর মাঝে আমি সবার সাথেই অল্প অল্প কথা বলা শুরু করেছি। বেশী কথা বলতাম পাপন আর নাসির মামার সাথে।

তো সেই সময় আমি ঢাকায়। দীপা বলল ভালো না লাগলে আশা আন্টি, বর্ণ এবং সিজু দের বাসা থেকে ঘুরে আসতে। আমি রাজি হলাম। রাজি হওয়ার কারন ছিলো পাপন দের বাসায় আমাকে সময় দেয়ার কেউ ছিলো না। পাপন আর নাসির মামা গিয়েছে জয় মামার সাথে। যাই হোক আমি প্রথম গেলাম আশা আন্টির বাসায়। তাদের এখানে কিছুক্ষণ বসে গেলাম বর্ণ দের বাসায়। তাদের বাসায় গিয়ে দেখি আলো আন্টি ঘুমাচ্ছে। তখন আমি বললাম যে তাহলে আমি যাই পরে আবার আসবো। বর্ণ তখন বলল যে " আপনি বসেন, আম্মু এখনি উঠে পরবে। আর যদি শুনে আপনি এসে না বসেই চলে গিয়েছেন তাহলে খুব রাগ করবে। " আমি বসলামবর্ণ আর বর্ষ একসাথে বসে ছিলো। কিছুক্ষন কথা বলার পর বর্ণ একটা ড্রইং বের করলো। আমাকে দেখিয়ে বললো যে এটা বর্ষ'র। ড্রইং টা ছিলো একটা প্লেন। তখন আবার close up 1 হতো। সেবার প্রথম এই প্রোগ্রাম শুরু হয়বর্ণ সেই প্লেন টা আমাকে দেখিয়ে বলছিলো যে এখানে <close up 1 এর কন্টেসটেন্ট এর নাম> এবং তার বউ বসবে। এরকম বেশ কয়েকটা দেখিয়ে সে একটা পর্যায়ে একটা জায়গা দেখিয়ে বললো এখানে আপনি এবং আপনার বউ বসবে। তখন আমি হুট করে বলে ফেলেছিলাম " ও তাই? আমার বউ তো তুমি, তারমানে তুমি বসবা।" বর্ণ অনেকটা লজ্জা পেয়ে মুখ টা লজ্জিত ভাবে হাসি হাসি করে না করলো। বললো আমি না, আপনার বউ। আমি আবারো বললাম যে হয় আমি একা বসবো আর তা না হলে যদি বউ লাগে তাহলে তুমি বসবা পাশে। এইসব বলে অনেক্ষন দুষ্টুমি করার পর আলো আন্টি ঘুম থেকে উঠলো। তারপর আলো আন্টির সাথে কতক্ষণ কথা বলে তাদের বাসা থেকে বের হলাম। সেদিন সন্ধায় সবাই বর্ন দের বাসায় যাবে ঠিক করলো। গেলাম তাদের বাসায়। আমি সোফায় বাবার সাথে বসে ছিলাম। কিছুক্ষন পর বর্ণ এসে আমাকে ডাক দিয়ে বলল যে কার্জন ভাইয়া একটু আসেন তো, কথা আছে। আমি তখন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম এবং খুব ভয় পেয়েছিলাম।
লজ্জা পেয়েছিলাম কারন বাবার সামনে থেকে একটা মেয়ের ডাকে উঠে যাচ্ছি।
আর ভয় পেয়েছিলাম কারন বিকালের ওই কথা টা যদি বর্ণ সবাই কে বলে দেয়।

যাই হোক, বর্ণ'র সাথে জেমী ছিলো। আমাকে নিয়ে সিঁড়িতে গেলো। তখন তাদের সিঁড়ির সামনে খালি জায়গাটা তে কিছু আলমারি রাখা ছিলো ওই আলমারি'র পেছনে ছিল সিঁড়িটার জানালা। আমাকে ওই জানালার কাছে নিয়ে গেল। তারপর বর্ণ আর জেমী মিলে আমাকে প্রশ্ন শুরু করলো যে বিকালে আমি ওই কথা কেন বললাম, আমি কি সত্যি বলেছি নাকি ফান করে বলেছি। আমি একবার উত্তর দেই সত্যি বলেছি আবার উত্তর দেই যে ফান করেছি। এইসব কথার এক পর্যায়ে বর্ণ বললো যে " কার্জন ভাইয়া দেখেন, এখন কিন্তু আযান দিচ্ছে। আর আযান এর সময় কেউ মিথ্যা বলে না।" আযান প্রায় শেষ মুহূর্তে ছিলো। আমি ১০ সেকেন্ড এর মত চুপ থাকতেই আযান শেষ হয়ে গেল। তখন জেমী বলল দেখেছো কত চালাক, চুপ থেকেছে যাতে আযান শেষ হয়ে যায়। তখন বর্ণ একটু বিরক্ত ভাব নিয়ে সত্যি টা জানতে চাইলো। আমি কিছুক্ষন ভাবলাম, কিন্তু কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। একটা ভয় কাজ করছিলো যে সত্যি টা বলে দিলে যদি তাকে আর দেখতেও না পারি, যদি আমাকে এড়িয়ে চলে? কোন decision নিতে না পেরে বললাম যে ফান করেছি। তখন বর্ণ বললো  যে " ও আচ্ছা, ঠিক আছে।" এটুকু বলে তারা চলে যাচ্ছে। আমার কাছে শুধু মনে হচ্ছে এখনি সব বলে দেয়া উচিৎ। আমি ডাক দিলাম তাদের। তারা আবার আসলো। আমি বললাম আগে যেটা বলেছি সেটা মিথ্যা, সত্যি টা হলো আমি বর্ণ কে ভালোবাসি।" বর্ণ বললো কেন ভালোবাসলেন, এখন আমি কি করবো? এইসব বলে সে বললো যে "আমি রাজি। কিন্তু এই কথা আমরা ৩ জন ছাড়া যেন অন্য কেউ না জানে।" আমি বললাম ঠিক আছে। তারপর তারা আমাকে দাড়াতে বলে ঘরে গেলো। একটু পর বর্ণ একা আসলো। বলল যে ঘরে আসেন। বাইরে এতক্ষন থাকলে সবাই রাগ করবে। আমি বর্ণ কে বললাম যে একটু দাড়াও আর চোখ বন্ধ কর। সে জিগ্যেস করলো কেন? আমি বললাম এমনি তুমি চোখ বন্ধ কর। সে চোখ বন্ধ করলো। ( আমি তাকে চোখ বন্ধ করতে বলেছিলাম কারন আমি তার গালে একটা চুমু দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিতে পারিনি, কারন আমার মনে হয়েছিলো যে চুমু দিলে যদি সে আমাকে খারাপ ভাবে?) এরপর তার মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলাম। তারপর বললাম যে থাক কিছুনা তুমি ঘরে যাও আমি আসছি। সে কিছু না বলে আমার দিকে একটু সময় তাকিয়ে থেকে চলে গেলো। আমিও একটু পর রুমে গেলাম। মনে মনে আমি অনেক খুশি ছিলাম। যাই হোক তার পরদিন মনোহরদী চলে আসলাম। তখন আমার কাছে মোবাইল ছিলো না। বিকালে কারো মোবাইলে আমার সিম ভরে তাকে কল দিতাম। তখন ৫০ টাকার কার্ড দিয়ে মাত্র ১৬ মিনিট কথা বলতে পারতাম। যত টাকা পেতাম সব দিয়ে শুধু কার্ড কিনতাম আর সুযোগ পেলেই তার সাথে কথা বলতাম। মাঝখানে কয়েকদিন কথা হয়নি। এর মাঝেই ঈদ হলো। ঈদ এর দিন অনেক্ষন কথা বললাম। ঈদ এর কয়েকদিন পর বর্ন রা সবাই মনোহরদী আসলো। আমি তো খুবই খুশী ছিলাম। কিন্তু আসার পর খেয়াল করলাম আমাকে সে avoid করছে। তারা ঢাকা চলে আসার আগের রাতে জানতে পারলাম যে সে নাকি আমাকে ভালোবাসে না। অনেক চেস্টা করেও কারন জানতে পারলাম না। ( বিয়ের পর অবশ্য জেনেছি কারন টা। পরে বলছি কারন টা কি ছিল। ) তারা ঢাকা চলে গেলো। আমি খুব upset হয়ে গিয়েছিলাম। সারাদিন বাইরে একা বসে থাকতাম। তখনি আমি চিন্তা করেছিলাম যে বিয়ে করলে আমি বর্ণ কেই করবো। আর যদি তাকে না পাই তাহলে বিয়ে করবো না। তখন আমি ক্লাস ৯ এ পড়ি।

Ayesha afroj Barno, carzon and barno, real love story, Stefun jahangir Carzon

0 comments:

Post a Comment

 

© 2011 A real love story and A real painful life story - Designed by Mukund | ToS | Privacy Policy | Sitemap

About Us | Contact Us | Write For Us